Friday, February 21, 2020

দেশের প্রথম মেডিকেল রোবট

দেশের প্রথম মেডিকেল রোবট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এক রোবট বানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঁচ শিক্ষার্থী। রোবটটির নাম ‘মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল’। এটি মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হার্টবিট, অক্সিজেনের পরিমাণ ও রক্তচাপ পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সক্ষম। এ ছাড়া চলাফেরা করার পাশাপাশি সালাম দিয়ে নিজের নাম, দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারে মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, মো. আনাসুর রহমান, মো. মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল মোন্নাফ মাত্র ১৫ দিনে ‘মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল’ রোবটটি বানিয়েছেন। এতে সহযোগিতা করেছেন ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) মো. আবুল কাশেম। তারা নিজেদের বিভাগের নামেই এর নাম দিয়েছেন মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এর ব্যয়ভার বহন করে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রোবট বানানোর কাজ শুরু করে টানা ১৫ দিনে পরিপূর্ণ রোবট বানাতে সক্ষম হন তারা। গত ২৩ জানুয়ারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে রোবটটি হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা। এটি নিয়ন্ত্রণে স্থাপন করা হয়েছে রেসবেরি পাই (জধংঢ়নবৎৎু চর), আরডোইনো পমগা (অৎফঁরহড় গবমধ) ও আরডোইনো ইউএনও (অৎফঁরহড় টঘঙ)। এটি মানুষের শরীরের রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ইসিজি, হার্টবিট, কলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড ও ব্লাড সুগার পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সক্ষম। এ জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে বি.পি মনিটর, ইসিজি সেন্সর পালস অক্সিমেটরি সেন্সর, জিসিইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার। আর চলাফেলা করার জন্য ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এসব ফিচার ব্যবহারও করা হয়েছে। সবকটি যথাযথভাবে কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সারা দেশের ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে শুধু নয়টিতে ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগ চালু রয়েছে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করে থাকেন। ২০০৫ সাল থেকে এই বিভাগটি চালু হলেও সরকারিভাবে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়নি। ফলে বেসরকারিভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নিজেদের বিভাগকে সারা দেশে পরিচিত করে তোলার পাশাপাশি সুযোগ পেলে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার কথা জানান দিতেই এই মেডিকেল রোবট বানানোর উদ্দেশ্য ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের। মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেলকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না গেলেও রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহের কাজও করতে পারবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. আবুল কাশেম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের বানানো রোবটটি বিভিন্ন বায়োমেডিকেল কাজ করতে পারে। প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবেও বানানো সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের স্বল্প সামর্থ্যরে মধ্যে এই রোবট তৈরি করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, মেডিকেল রোবটের ধারণাটি আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। যদি এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজে আসে তাহলে সানন্দে গ্রহণ করব।

Thursday, February 13, 2020

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দমদমে ব্যাংকক ফেরত ২ যাত্রী আইসোলেশনে

অনলাইন ডেস্ক

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দমদমে ব্যাংকক ফেরত ২ যাত্রী আইসোলেশনে
চীনের করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। এরই মধ্যে এই ভাইরাস মহামারী রূপ নিয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি দেশে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টে দুই যাত্রীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ব্যাংকক থেকে এই দুই যাত্রী দমদম বিমানবন্দরে নামেন। এদের শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ পাওয়া গেছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুই যাত্রীর মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার ও অন্যজনকে বুধবার কোয়ারান্টাইন করা হয়। এদের দু-জনকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এয়ারপোর্টে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং-এর সময় এদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য্য। ইতোমধ্যেই যে দুটি বিমানসংস্থার কলকাতা ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, তারা তাদের এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছে।
এই মাসের ৬ তারিখ থেকেই কলকাতা ও চীনের গুয়াংঝাউ-এর মধ্যে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইন্ডিগো'র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগোর পরে এই মাসের ১০ তারিখ থেকে কলকাতা ও কুনমিং-এর মধ্যে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

Wednesday, February 12, 2020

৪৪টি জেলায় হবে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট

নিজস্ব সংবাদদাতা
সারাদেশের প্রায় দুই কোটি কিডনি রোগীর উন্নত সেবার জন্য দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
গতকাল শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৫৫.২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিটগুলো স্থাপন করতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং প্রায় ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার নেফ্রোলজি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণ উপকৃত হবে।
কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।
তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ বিকল। এই ৪০ হাজার রোগীর মাত্র ২০ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারেন।
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু করেছেন এমন ৭৫ শতাংশ রোগী খরচ বহন করতে না পেরে ছয় মাসের মধ্যেই ডায়ালাইসিস নেওয়া বন্ধ করে দেন।”
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর একে আজাদ খান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “এটি অবশ্যই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। জনগণ এতে উপকৃত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের পরিচালনা ব্যয় প্রয়োজন। আমরা আশা করি এটি সঠিকভাবে চলবে।”
একনেকের এই বৈঠকে দুই হাজার ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও আটটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

Sunday, February 9, 2020

seekmed: যে টেলিমেডিসিন অ্যাপের সেবা পৌঁছে গেছে সারাদেশে

seekmed নামের টেলিমেডিসিন অ্যাপটি বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে এই যুগান্তকারী সুবিধা। দেশে বসেই ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায় বিধায় বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা।
দেশজুড়ে মানুষ seekmed -এর মাধ্যমে নিচ্ছেন ভারতীয় ডাক্তারদের পরামর্শ এবং হচ্ছেন উপকৃত। সেরকমই একজন অনিরুদ্ধ সুর, কাজ করছেন রাজধানী লেকশোর হোটেলের বিক্রয় ও বিপণন শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে।
seekmed সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “মাত্র ১২০০ টাকাতেই আমি পাচ্ছি ভারতের প্রখ্যাত সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ। অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই অ্যাপটি কার্যকর একটি ভূমিকা পালন করছে ও করবে।”
প্রযুক্তির এই যুগে শুধু আপনার হাতের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে seekmed অ্যাপটির মাধ্যমেই আপনি পেতে পারেন জরুরি ডাক্তারি পরামর্শ। অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন সেখানে রোগী তার রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারেন। চিকিৎসকও সেসব রিপোর্ট দেখে তাকে সেভাবেই দেবেন পরামর্শ।
পল্লবী মাজেদুল ইসলাম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার seekmed অ্যাপটির মাধ্যমে হয়েছেন উপকৃত।
তিনি বলেন, “seekmed-এর কথা আমি প্রথম জানতে পারি আমার ছেলের কাছ থেকে। আমার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কি, রিপোর্ট না দেখে অথবা মুখোমুখি না বসে একজন চিকিৎসক আমাকে কেমন ডাক্তারি পরামর্শ দিতে পারবেন, এ ব্যাপারে আমি শুরুতে একটু সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু পরে আমার সন্দেহ দূর করেছে আমার ছেলে। সে আমাকে বলেছে যে আমি চাইলেই আমার আগের রিপোর্ট আর অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারবো। ডাক্তার তখন সেসব দেখেই আমার রোগ নির্ণয় করবেন কিংবা পরামর্শ দেবেন। এমনটা শোনার পর আমি আশ্বস্ত হয়েছি।”          
বৈচিত্রময় সব সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে seekmed অ্যাপটি চিকিৎসা সেবা নেয়ার ব্যাপারটিকে করেছে আরও সহজ। seekmed ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন যারা তাদের মধ্যে আরেকজন, কৃষি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমিনুল বাহার।
seekmed প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “দেশের বাইরে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার খরচটা মোটেও কম নয়। সাথে ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে তোড়জোড় এবং মানসিক একটা ঝক্কির ব্যাপার তো থাকেই। ফলে ঘরে বসেই যদি আপনি নিতে পারেন প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ, সেবা নেয়ার ব্যাপারটা হয়ে যায় আরও সহজ।‘
seekmed -এ আপনি পেমেন্টটাও করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।
অ্যাপটির পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছেন খুলনার কম্পিউটার অপারেটর লাক্সম্যান কুমার।
তাঁর মতে, “seekmed-এর পেমেন্ট পদ্ধতিটি খুবই সহজ।কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আমি বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছি।” 
বিদেশি ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়া তাই এখন শুধুমাত্র একটি ক্লিকের ব্যাপার। seekmed- অ্যাপের মাধ্যমে এখন রোগীরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন সকল ধরনের মেডিক্যাল পরামর্শ।

Friday, February 7, 2020

টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে

অনলাইন ডেস্ক

টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে
আগামী ১ মার্চ থেকে মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে সড়ক, ফেরি ও সেতুতে আর কোনো টোল দিতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করতে যাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন সড়ক, ফেরি এবং সেতুতে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহনকালীন টোলের সমপরিমাণ অর্থ সেবা প্রদানকারী কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্সের চার্জ থেকে হ্রাস করার শর্তে সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করা হলো। এ আদেশ আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বেরনোর আশা জাগালেন অনাবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানী

s s vasin
ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট এস এস ভাসিন। ছবি- ফেসবুকের সৌজন্যে।
করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বাজারে আসার সম্ভাবনা জোরালো করে তুললেন এক ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট। অধ্যাপক এস এস ভাসিন।
চিনের বাইরে গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস তৈরি করেছে যে গবেষকদল, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসিন। এই করোনাভাইরাস কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যাতে মানুষের উপর পরীক্ষার আগে টিকা তৈরির জন্য ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার (প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ) পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া যায়।
সেই গবেষণা হবে অস্ট্রেলিয়ার ‘কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও)’-এর গবেষণাগারে। যেখানে ‘ডেঞ্জারাস প্যাথোজেন্‌স টিম’-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসান।
গত সপ্তাহেই মানুষের শরীর থেকে প্রথম করোনাভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘ডোহার্টি ইনস্টিটিউটে’র গবেষকরা। ভাসিনের নেতৃত্বে সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কৃতিত্ব, তাঁরাই টিনের বাইরে প্রথম কৃত্রিম ভাবে করোনাভাইরাসের বাড়-বৃদ্ধি ও দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পেরেছেন। তার ফলে, তৈরি হয়েছে অসংখ্য করোনাভাইরাস। গবেষণার জন্য যা খুব প্রয়োজন।

‘‘করোনাভাইরাসের টিকা বানানোর গবেষণা তো আর শুধুই অস্ট্রেলিয়ায় হবে না। সেই গবেষণা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রয়োজন কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা করোনাভাইরাস। আমাদের কাজ সেই গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসের অভাব মেটাতে সাহায্য করবে’’, বলেছেন ভাসান।
চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যেই অন্য দেশে বসে এই সাফল্য পাওয়ার জন্য ভাসান কৃতিত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডোহার্টি ইনস্টিটিউটকে। জানিয়েছেন, মানুষের শরীর থেকে আলাদা করার পরেই করোনাভাইরাসকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছিল সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কাছে। তার ফলে, কৃত্রিম ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানোর কাজটা এত অল্প সময়ে করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।’’
পিলানির ‘বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (বিআইটিএস)’ এবং বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)’-তে পড়াশোনার পর ‘রোডস স্কলারশিপ’ নিয়ে ভাসান পড়তে যান অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে। সেখান থেকে পিএইচডি করার পর ভাসান ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জিকার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন অক্সফোর্ডেই।

আনন্দ বাজার

Tuesday, February 4, 2020

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ
প্রতীকী ছবি
যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ- এসবই মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে-
১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় একমাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
২) হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।
৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

Monday, February 3, 2020

ভারতে- আক্রান্ত তিন, করোনা ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা কেরলে - আনন্দ বাজার

kochi
কোচির একটি হাসপাতালে। ছবি: পিটিআই।


আতঙ্ক বাড়িয়ে সোমবার কেরলের কাসারগড়ে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেল। এর পরই এই ভাইরাসকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করল কেরল সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, ‘‘রোগীদের হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে আক্রান্তদের।’’
কেরলে ইতিমধ্যে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল ১৭ জনকে। আজ কোট্টায়ামের বাসিন্দা আরও ২ জনকে সংক্রমণের আশঙ্কায় সরকারি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ পাঠানো হয়েছে। রুটিন পরীক্ষার সময়ে ওই দু’জনের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা যাওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে পাঠান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই দু’জন দু’সপ্তাহ আগে চিন থেকে ফিরেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। আমি নিজেও কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’
এক ঝলকে 
• কেরলে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ
• চিনের উহান থেকে ফেরা কেরলের তিন আক্রান্তই পড়ুয়া
• কেরলে প্রথম ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল ত্রিশূরে দ্বিতীয় জন আলাপুঝার। তৃতীয় জন কাসারগড়ের বাসিন্দা
• সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজেদের বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ২ হাজার জনকে। ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রয়েছেন ১৭ জন
আজ চিন সফরে সতর্কতা জারি করে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পরে কেউ চিন থেকে ফিরলে তাঁকে ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ রাখা হতে পারে। জানুয়ারি মাসেই চিন থেকে ফেরা মিজোরামের দুই বাসিন্দাকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ত্রিপুরায় দু’টি বন্দর ও বিমানবন্দরে যাত্রীদের
পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগরতলা চেকপোস্টেও বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 
মধ্যপ্রদেশে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি দু’জন সন্দেহভাজন ভাইরাস-আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। বছর কুড়ির ওই দুই যুবক সম্প্রতি চিনের উহান থেকে ছতরপুরে ফিরেছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক পড়ুয়া সম্প্রতি সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের আগেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর জেরে হাসপাতাল কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন আগে চিন থেকে জবলপুরে ফেরা আর এক যুবককেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তাঁরও খোঁজ নেই।

করোনাভাইরাস: হুট করে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম

চীন ফেরত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় : আইইডিসিআর

অনলাইন ডেস্ক

চীন ফেরত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় : আইইডিসিআর
ডা. মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা
চীনের উহান ফেরত যে ৮ বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সোমবার রাজধানীর মহাখালী আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, উহান থেকে আসা ৭ বাংলাদেশিকে পরীক্ষা শেষে আবারও আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। উহান থেকে ফেরত আসা সব বাংলাদেশির বিমানে থাকা অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তখন ৮ জনের তাপমাত্রা থাকায় তাদের হাসপাতালে রাখা হয়। চীনের উহান থেকে দেশে ফিরেছেন ৩১২ জন বাংলাদেশি। নিজ দেশে ছুটি কাটিয়ে ২৩ জন চীনা নাগরিকও শনিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকি ৩২৫ জন বাংলাদেশি ও চীনা  নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত