Tuesday, September 29, 2020

বিশ্ব হার্ট দিবস= ব্যাগের ভেতর হৃৎপিণ্ড নিয়ে ঘোরেন তাঁরা

 হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে। এর ওজন প্রায় ১৫ পাউন্ড। ব্যাগে থাকে ব্যাটারি, ইলেকট্রিক মোটর ও একটি পাম্প...

....................................................।

হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে
হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে
ছবি: ডেইলি মেইল

দেখতে অনেকটা সাধারণ পিঠে ঝোলানো ব্যাগের মতো। ঠিক যেমনটা আপনি প্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন বা ছোট্ট ল্যাপটপের ঠাঁই হয় যেখানে। কিন্তু পার্থক্য হলো এই বিশেষ ব্যাগে থাকে শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রিমোট কন্ট্রোল।

রিমোট কন্ট্রোল শব্দটা আসলে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন, নানা কারণে যাঁদের হৃদ্‌যন্ত্র পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁদের হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপনের সুযোগ থাকে। কিন্তু চাইলেই কি আর যখন-তখন তরতাজা হৃদ্‌যন্ত্র মেলে! তখন অপেক্ষা করতে হয়। আর অপেক্ষার সেই সময়টায় রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি।

বিজ্ঞাপন
রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি
রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি
ছবি: ডাইকার্ডিওলোজি ডটকম

বিশ্বে সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র ব্যবহার করার বেশ কটি উদাহরণ আছে। যুক্তরাজ্যের সেলওয়া হুসেইন তেমনই একজন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি তাঁর হৃৎপিণ্ড একেবারে অচল হয়ে গিয়েছিল। দুই সন্তানের মা সেলওয়ার বয়স তখন ৩৯ বছর। হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখা যায়, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র আর কাজ করছে না। এরপর চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু দাতা পাওয়া যায়নি সময়মতো। তাই ওই বছরের শেষের দিকে সেলওয়ার শরীরে বসানো হয় কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র।

একে চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়াকে। এর ওজন প্রায় ১৫ পাউন্ড। ব্যাগে থাকে ব্যাটারি, ইলেকট্রিক মোটর ও একটি পাম্প। এটি সেলওয়ার কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রকে চালু রাখে ও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্রের মাধ্যমে পুরো দেহে রক্ত চলাচল অব্যাহত থাকে।

সেলওয়া হুসেইনকে ওই সময় নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত হেয়ারফিল্ড হাসপাতালে। সেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাকৃতিক হৃদ্‌যন্ত্র অপসারণ করে সেখানে কৃত্রিমটি বসান। ব্যাগে করে হৃদ্‌যন্ত্র বয়ে নেওয়ায় অভ্যস্ত হতে সেলওয়ার কয়েক মাস সময় লেগেছিল। এরপর সর্বত্র চলাচলের ক্ষেত্রেই সেলওয়াকে এই ব্যাগ বইতে হতো। তা তিনি ঘরেই থাকুন বা রাস্তায়!

বিজ্ঞাপন
২০১১ সালে যুক্তরাজ্যেই আরেক ব্যক্তির দেহে বসানো হয়েছিল এমন হৃদ্‌যন্ত্র। তার দুই বছর পর ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। যত দূর জানা যায়, তিনি বেশ সুস্থই ছিলেন। রেবেকা হ্যান্ডারসনের ভাগ্য অবশ্য অতটা সুপ্রসন্ন ছিল না।

সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য সেলওয়াকে খরচ করতে হয়েছিল প্রায় ৮৬ হাজার পাউন্ড। সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির তৈরি। অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছিল প্রায় ৬ ঘণ্টা।

মানুষের পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনের কাজটি করে থাকে হৃদ্‌যন্ত্র। যখন এর নিলয় অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন আর সেটি কাজ করে না। কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রের কাজ এখানেই। মূলত হৃদ্‌যন্ত্রের নিচের অংশে বসানো হয় এটি। চালু থাকে ব্যাকপ্যাকে থাকা ব্যাটারির সাহায্যে। দেহের সঙ্গে ব্যাগের সংযোগ থাকে দুটি নলের মাধ্যমে। এভাবেই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখে কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র বা টিএএইচ।

তবে এ ক্ষেত্রে রোগীকে যেমন একটি ব্যাগ পিঠে ঝোলাতে হয়, তেমনি জরুরি প্রয়োজনের জন্য আরেকটি ব্যাগও সঙ্গে রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী। জরুরি প্রয়োজন হলে ব্যাগ পাল্টানোর জন্য সময় বরাদ্দ থাকে মাত্র ৯০ সেকেন্ড!

জরুরি প্রয়োজনের জন্য রোগীর সঙ্গে দুটি ব্যাগ রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী
জরুরি প্রয়োজনের জন্য রোগীর সঙ্গে দুটি ব্যাগ রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী
ছবি: ডেইলি মেইল
বিজ্ঞাপন

এর আগেও অবশ্য এমন কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র ব্যবহারের উদাহরণ আছে। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যেই আরেক ব্যক্তির দেহে বসানো হয়েছিল। তার দুই বছর পর ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। যত দূর জানা যায়, তিনি বেশ সুস্থই ছিলেন।

রেবেকা হ্যান্ডারসনের ভাগ্য অবশ্য অতটা সুপ্রসন্ন ছিল না। ক্যানসারের কারণে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র পুরোপুরি অচল হয়ে গিয়েছিল। কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। গত বছর ২৪ বছরের এই তরুণীর মৃত্যু হয়। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্যানসারে ভোগা প্রথম রোগী হিসেবে তাঁর শরীরে বসানো হয়েছিল কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র। সেলওয়ার মতোই পিঠে ঝোলানো ব্যাগে তা নিয়ে ঘুরতেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এই মেধাবী তরুণী।

কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর বেঁচে ছিলেন রেবেকা হ্যান্ডারসন
কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর বেঁচে ছিলেন রেবেকা হ্যান্ডারসন
ছবি: দ্য টাইমস
বিজ্ঞাপন

অবশ্য ২০১৮ সালের পর অন্তর্জালে সেলওয়া হুসেইনের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। বিশ্বাসযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম তাঁর অবস্থা নিয়ে আর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে আশা, তিনি সুস্থ আছেন। পিঠে ঝোলানো ব্যাগে হৃদ্‌যন্ত্রটি নিয়ে হাঁটছেন পৃথিবীর পথে। ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ...!

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, ডেইলি মেইল, এক্সপ্রেস ডট কো ডট ইউকে, হেলথ ডট হার্ভার্ড ডট এডু ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট

প্রথম আলো।

Tuesday, April 7, 2020

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবন: ‘রোবট সেবক’ সহায়তা দেবে করোনা আক্রান্তদের

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবন: ‘রোবট সেবক’ সহায়তা দেবে করোনা আক্রান্তদের
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা করবে রোবট। রোগীর সমস্যা শুনে তা ডাক্তারের কাছে পাঠানো, সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো, বাথরুমে নেয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করবে এই রোবট।
হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসা-সহকারী হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই রোবট তৈরি করেছে বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির একটি গবেষক দল। রোবটটির নাম দেয়া হয়েছে ‘সেবক’। সরকার চাইলে এটি উৎপাদন করে হাসপাতালে সরবরাহ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রোবটটির নির্মাতারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। ঝুঁকি বিবেচনায় অনেকেই সেবা দিতে গিয়ে শঙ্কায় থাকেন।
তবে সেবক নামের এই রোবটের মাধ্যমে চিকিৎসক তার রুমে বসেই সেবা দিতে পারবেন রোগীকে। এমনকি তিনি যদি হাসপাতালের বাইরে থাকেন তাহলে তার পক্ষে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া সম্ভব হবে। এতে কমবে ডাক্তার ও নার্সের শঙ্কা ও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
এ রোবট তৈরি টিমের সদস্য, প্রভাষক মাহবুবুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, রোবটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি হাসপাতালের সব পেশেন্টের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা চিকিৎসা সহকারী হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। আমাদের এ রোবটটি একটা ওয়ার্ডে ১০০ রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে।
চাহিদা অনুযায়ী সেবার ধরনের ওপর বিভিন্ন রকমের ফিচার এতে যুক্ত করা সম্ভব। জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একটি রিসার্চ টিম এই সেবক নামের রোবটটি তৈরি করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ইন্সটিটিউটের সদস্য। ইন্সটিটিউটে প্রায় ৫০ জন সদস্য আছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হিসেবে সেবার কাজে ব্যবহারের জন্য রোবটটি তৈরি করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটির রিসার্চ টিমের দলনেতা ও শিক্ষক মাইনুল হাসান জানান, এ রোবট ব্যবহার করে একটি কন্ট্রোল স্টেশনে বসে রোগীর সংস্পর্শে না গিয়ে প্রত্যেককে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এতে ডাক্তার ও নার্স সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি হাসপাতালে কোনো ওয়ার্ডে একজন রোগী যখন ভর্তি হয়, তখন প্রথমে ডাক্তারকে দেখাতে হয়। ডাক্তার তাকে একটা প্রেসক্রিপশন দেন। প্রেসক্রিপশনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অনলাইন সফটওয়্যারে ইন্সটল হবে। অনলাইনে সফটওয়্যারে রোগীর তথ্য ও প্রেসক্রিপশন ইন্সটল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীর জন্য একটি মেডিকেল বক্স তৈরি হবে। এভাবে একটা ওয়ার্ডে ১০০ জন রোগী থাকলে ১০০টি বক্স তৈরি হবে। এই রোবটটি বক্স অনুযায়ী রোগীর সেবার রুটিন অনুসরণ করবে। যে সময় যে ওষুধ খাওয়ানো দরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই ওষুধ নিয়ে সেবক নির্দিষ্ট রোগীর সামনে হাজির হবে।
সেবকের নির্মাতারা আরও বলেন, ওষুধ খাওয়ার সময় হলে নির্দিষ্ট রোগীর যে বক্স, সেটি ওপেন হবে এবং সেবক ওষুধ নিয়ে রোগীর সামনে যাবে। কোনো রোগী যদি ওষুধ খেতে অক্ষম হয় তাহলে এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোবটটি স্বয়ংক্রিয় রোবটিক্স হ্যান্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। সঙ্গে পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। যদি কোনো রোগী ট্যাবলেট জাতীয় মেডিসিন নিতে অক্ষম হয়, তাহলে এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোবটটি সেই ট্যাবলেটটিকে পাউডার বানিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, এই রোবট তৈরিতে বিভিন্ন রকমের খরচ আছে। হাসপাতালে একটি ওয়ার্ডের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাইলে নানা ধরনের ফিচার যুক্ত করতে হবে। এতে একটি রোবট তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ ধরনের একটি রোবট বানাতে ৫ থেকে ৬ দিন লাগবে।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রকৌশলী আবদুল আজিজ যুগান্তরকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে এই রিসার্চ টিমে ৫০ জন সদস্য আছেন। সরকার চাইলে ও কাঁচামাল সহায়তা পেলে আমরা দেড় থেকে ২০০ রোবট তৈরি করে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

Friday, March 6, 2020

করোনাভাইরাস ঃ কেরানীগঞ্জে পদ্মা সেতুর তথ্য সংগ্রহের সময় পরীক্ষা করা হয়

Thursday, March 5, 2020

করোনাভাইরাস: ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়ছে আক্রান্ত-মৃত্যু

করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে কারা?

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নিয়ে চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বিস্তারিত গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। গবেষণা বলছে, এই ভাইরাসে শিশু, যুবক ও মধ্যবয়সীদের তুলনায় বয়স্কদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি।
১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনে প্রায় ৪৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি।


‘মার্কিন জীবাণু হামলার ফল করোনাভাইরাস’

‘মার্কিন জীবাণু হামলার ফল করোনাভাইরাস’
ছবি: এএফপি
করোনাভাইরাস মহামারী হিসেবে রূপ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেই দোষী বলছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের প্রধান হোসেন সালামি। হুশিয়ার করে তিনি বলেন, যারা এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাদের জন্যই তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এটা সম্ভব যে আমেরিকার জীবাণু হামলারই ফল এই ভাইরাস। প্রথম তা চীনে ছড়ানো হয়েছে, পরে ইরানে এবং এরপরে বাদবাকি বিশ্বে।- খবর আরটি
কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইরান লড়াই চালিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন যদি এই মহামারীর জন্য দায়ী হয়, তবে একসময় এটি তাদের দিকে ফিরে যাবে। তাদেরও ভুগতে হবে।
তবে এমন অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হলেও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কোনো পক্ষ।
এর আগে ইরানের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার প্রধান জেনারেল গোলাম রেজা জালালি বলেন, দেশে নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে ভয় উৎপাদন করছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা চীন ও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন জীবাণু হামলা। বেশ কিছু প্রতিবেদন এমন আভাসই দিচ্ছে যে এটা কোনো বৈরী রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে।
যদিও তার এই সন্দেহকে প্রমাণ করতে হলে পরীক্ষাগারের তদন্ত ও ভাইরাসের জেনোম নিয়ে গবেষণা করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরান। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিতে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে।

Jugantor

করোনা থেকে বাঁচতে ইউনিসেফের ৫ নির্দেশনা

করোনাভাইরাস, ছবি সংগৃহীত
করোনাভাইরাস, ছবি সংগৃহীত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ভাইরাসটির কারণে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে চীনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়েছে। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। এ ছাড়া দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৪০৯ জনে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন।
বিবিসি বলছে, চীনের চেয়ে এখন চীনের বাইরে এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। তবে অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে কেবল মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সে দেশে পাঁচ হাজার ৩২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার কথা– ৫০ হাজার ৬৯১ জনেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার ৫ উপায় জানিয়েছেন ইউনিসেফ। আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ইউনিসেফের ৫ নির্দেশনা-
১. হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
২. সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হাত ধোয়ার দ্রব্য দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৩. চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া যাবে না।
৪. হাঁচি, কাশি হচ্ছে এমন লোকজন থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫. সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Jugantor

Friday, February 21, 2020

দেশের প্রথম মেডিকেল রোবট

দেশের প্রথম মেডিকেল রোবট
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এক রোবট বানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাঁচ শিক্ষার্থী। রোবটটির নাম ‘মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল’। এটি মানুষের শরীরের তাপমাত্রা, হার্টবিট, অক্সিজেনের পরিমাণ ও রক্তচাপ পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সক্ষম। এ ছাড়া চলাফেরা করার পাশাপাশি সালাম দিয়ে নিজের নাম, দেশের নাম, জাতির জনকের নাম ও প্রধানমন্ত্রীর নাম বলতে পারে মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান, মো. আনাসুর রহমান, মো. মীর আমিন, মেহেদী হাসান ও ষষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবদুল মোন্নাফ মাত্র ১৫ দিনে ‘মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল’ রোবটটি বানিয়েছেন। এতে সহযোগিতা করেছেন ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক) মো. আবুল কাশেম। তারা নিজেদের বিভাগের নামেই এর নাম দিয়েছেন মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেল। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এর ব্যয়ভার বহন করে ওই বিভাগের শিক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি রোবট বানানোর কাজ শুরু করে টানা ১৫ দিনে পরিপূর্ণ রোবট বানাতে সক্ষম হন তারা। গত ২৩ জানুয়ারি ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের কাছে রোবটটি হস্তান্তর করে শিক্ষার্থীরা। এটি নিয়ন্ত্রণে স্থাপন করা হয়েছে রেসবেরি পাই (জধংঢ়নবৎৎু চর), আরডোইনো পমগা (অৎফঁরহড় গবমধ) ও আরডোইনো ইউএনও (অৎফঁরহড় টঘঙ)। এটি মানুষের শরীরের রক্তচাপ, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ইসিজি, হার্টবিট, কলেস্টেরল, ইউরিক অ্যাসিড ও ব্লাড সুগার পরিমাপসহ রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সক্ষম। এ জন্য এতে যুক্ত করা হয়েছে বি.পি মনিটর, ইসিজি সেন্সর পালস অক্সিমেটরি সেন্সর, জিসিইউ সেন্সর, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর ও থার্মাল স্ক্যানার। আর চলাফেলা করার জন্য ক্যামেরা ও আল্ট্রাসনিক সেন্সর লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এসব ফিচার ব্যবহারও করা হয়েছে। সবকটি যথাযথভাবে কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
রোবটটিতে নতুন ফিচার হিসেবে অ্যালকোহল ডিটেক্টর ও ফায়ার অ্যালার্ম যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটি যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের জন্য মোবাইল অ্যাপস তৈরির কাজও করছে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী।
জানা যায়, সারা দেশের ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মধ্যে শুধু নয়টিতে ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগ চালু রয়েছে। এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা মেডিকেল সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি করে থাকেন। ২০০৫ সাল থেকে এই বিভাগটি চালু হলেও সরকারিভাবে কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হয়নি। ফলে বেসরকারিভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন তারা। নিজেদের বিভাগকে সারা দেশে পরিচিত করে তোলার পাশাপাশি সুযোগ পেলে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখার কথা জানান দিতেই এই মেডিকেল রোবট বানানোর উদ্দেশ্য ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের। মিস্টার ইলেকট্রোমেডিকেলকে আরও উন্নত করার জন্য কাজ চলছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে কেউ না গেলেও রোবটটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে গিয়ে তার শরীরের তাপমাত্রা, রক্তচাপ, হার্টবিট ও অক্সিজেনের পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবে। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ওষুধ ও খাবার সরবরাহের কাজও করতে পারবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রোমেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর মো. আবুল কাশেম জানান, আমাদের শিক্ষার্থীদের বানানো রোবটটি বিভিন্ন বায়োমেডিকেল কাজ করতে পারে। প্রয়োজনীয় অর্থায়ন পেলে এটি বাণিজ্যিকভাবেও বানানো সম্ভব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের স্বল্প সামর্থ্যরে মধ্যে এই রোবট তৈরি করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, মেডিকেল রোবটের ধারণাটি আমাদের দেশে একেবারেই নতুন। যদি এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজে আসে তাহলে সানন্দে গ্রহণ করব।

Thursday, February 13, 2020

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দমদমে ব্যাংকক ফেরত ২ যাত্রী আইসোলেশনে

অনলাইন ডেস্ক

করোনা আক্রান্ত সন্দেহে দমদমে ব্যাংকক ফেরত ২ যাত্রী আইসোলেশনে
চীনের করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভুগছে পুরো বিশ্ব। এরই মধ্যে এই ভাইরাস মহামারী রূপ নিয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে কয়েকটি দেশে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহে কলকাতার দমদম এয়ারপোর্টে দুই যাত্রীকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ব্যাংকক থেকে এই দুই যাত্রী দমদম বিমানবন্দরে নামেন। এদের শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ পাওয়া গেছে বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দুই যাত্রীর মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার ও অন্যজনকে বুধবার কোয়ারান্টাইন করা হয়। এদের দু-জনকেই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এয়ারপোর্টে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং-এর সময় এদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছেন কলকাতা বিমানবন্দরের কর্মকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য্য। ইতোমধ্যেই যে দুটি বিমানসংস্থার কলকাতা ও চীনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, তারা তাদের এই ফ্লাইটগুলো বাতিল করেছে।
এই মাসের ৬ তারিখ থেকেই কলকাতা ও চীনের গুয়াংঝাউ-এর মধ্যে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো। করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইন্ডিগো'র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ইন্ডিগোর পরে এই মাসের ১০ তারিখ থেকে কলকাতা ও কুনমিং-এর মধ্যে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

Wednesday, February 12, 2020

৪৪টি জেলায় হবে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট

নিজস্ব সংবাদদাতা
সারাদেশের প্রায় দুই কোটি কিডনি রোগীর উন্নত সেবার জন্য দেশের সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিট স্থাপন করতে যাচ্ছে সরকার।
গতকাল শেরে বাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২৫৫.২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নেফ্রোলজি ইউনিটগুলো স্থাপন করতে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২২টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং প্রায় ৪৪টি জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যার নেফ্রোলজি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপন করা হবে।
প্রকল্পটির কাজ শেষ করতে সময়সীমা ধরা হয়েছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে জনগণ উপকৃত হবে।
কিডনি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।
তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার রোগীর কিডনি সম্পূর্ণ বিকল। এই ৪০ হাজার রোগীর মাত্র ২০ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসা করাতে পারেন।
কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, কিডনি ডায়ালাইসিস শুরু করেছেন এমন ৭৫ শতাংশ রোগী খরচ বহন করতে না পেরে ছয় মাসের মধ্যেই ডায়ালাইসিস নেওয়া বন্ধ করে দেন।”
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর একে আজাদ খান গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “এটি অবশ্যই একটি ভালো সিদ্ধান্ত। জনগণ এতে উপকৃত হবেন।”
তিনি আরও বলেন, “যে কোনো ডায়ালাইসিস কেন্দ্রের পরিচালনা ব্যয় প্রয়োজন। আমরা আশা করি এটি সঠিকভাবে চলবে।”
একনেকের এই বৈঠকে দুই হাজার ১৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও আটটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

Sunday, February 9, 2020

seekmed: যে টেলিমেডিসিন অ্যাপের সেবা পৌঁছে গেছে সারাদেশে

seekmed নামের টেলিমেডিসিন অ্যাপটি বাংলাদেশের চিকিৎসাক্ষেত্রে নিয়ে এসেছে এই যুগান্তকারী সুবিধা। দেশে বসেই ভারতীয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ পাওয়া যায় বিধায় বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা।
দেশজুড়ে মানুষ seekmed -এর মাধ্যমে নিচ্ছেন ভারতীয় ডাক্তারদের পরামর্শ এবং হচ্ছেন উপকৃত। সেরকমই একজন অনিরুদ্ধ সুর, কাজ করছেন রাজধানী লেকশোর হোটেলের বিক্রয় ও বিপণন শাখার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে।
seekmed সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, “মাত্র ১২০০ টাকাতেই আমি পাচ্ছি ভারতের প্রখ্যাত সব বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের পরামর্শ। অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের জন্য এই অ্যাপটি কার্যকর একটি ভূমিকা পালন করছে ও করবে।”
প্রযুক্তির এই যুগে শুধু আপনার হাতের স্মার্টফোনটি ব্যবহার করে seekmed অ্যাপটির মাধ্যমেই আপনি পেতে পারেন জরুরি ডাক্তারি পরামর্শ। অ্যাপটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন সেখানে রোগী তার রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারেন। চিকিৎসকও সেসব রিপোর্ট দেখে তাকে সেভাবেই দেবেন পরামর্শ।
পল্লবী মাজেদুল ইসলাম প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকা রাশেদা আক্তার seekmed অ্যাপটির মাধ্যমে হয়েছেন উপকৃত।
তিনি বলেন, “seekmed-এর কথা আমি প্রথম জানতে পারি আমার ছেলের কাছ থেকে। আমার বর্তমান শারীরিক অবস্থা কি, রিপোর্ট না দেখে অথবা মুখোমুখি না বসে একজন চিকিৎসক আমাকে কেমন ডাক্তারি পরামর্শ দিতে পারবেন, এ ব্যাপারে আমি শুরুতে একটু সন্দিহান ছিলাম। কিন্তু পরে আমার সন্দেহ দূর করেছে আমার ছেলে। সে আমাকে বলেছে যে আমি চাইলেই আমার আগের রিপোর্ট আর অন্যান্য তথ্য আপলোড করতে পারবো। ডাক্তার তখন সেসব দেখেই আমার রোগ নির্ণয় করবেন কিংবা পরামর্শ দেবেন। এমনটা শোনার পর আমি আশ্বস্ত হয়েছি।”          
বৈচিত্রময় সব সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে seekmed অ্যাপটি চিকিৎসা সেবা নেয়ার ব্যাপারটিকে করেছে আরও সহজ। seekmed ব্যবহার করে উপকৃত হয়েছেন যারা তাদের মধ্যে আরেকজন, কৃষি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমিনুল বাহার।
seekmed প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “দেশের বাইরে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার খরচটা মোটেও কম নয়। সাথে ভিসা ও পাসপোর্ট নিয়ে তোড়জোড় এবং মানসিক একটা ঝক্কির ব্যাপার তো থাকেই। ফলে ঘরে বসেই যদি আপনি নিতে পারেন প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ, সেবা নেয়ার ব্যাপারটা হয়ে যায় আরও সহজ।‘
seekmed -এ আপনি পেমেন্টটাও করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দ্যেই।
অ্যাপটির পেমেন্ট পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছেন খুলনার কম্পিউটার অপারেটর লাক্সম্যান কুমার।
তাঁর মতে, “seekmed-এর পেমেন্ট পদ্ধতিটি খুবই সহজ।কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই আমি বিকাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করেছি।” 
বিদেশি ডাক্তারদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়া তাই এখন শুধুমাত্র একটি ক্লিকের ব্যাপার। seekmed- অ্যাপের মাধ্যমে এখন রোগীরা ঘরে বসেই নিতে পারবেন সকল ধরনের মেডিক্যাল পরামর্শ।

Friday, February 7, 2020

টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে

অনলাইন ডেস্ক

টোল দিতে হবে না রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে
আগামী ১ মার্চ থেকে মুমূর্ষু রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সকে সড়ক, ফেরি ও সেতুতে আর কোনো টোল দিতে হবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করতে যাচ্ছে সরকার।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, অর্থ বিভাগের ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের আওতাধীন সড়ক, ফেরি এবং সেতুতে সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষু রোগী বহনকালীন টোলের সমপরিমাণ অর্থ সেবা প্রদানকারী কর্তৃক অ্যাম্বুলেন্সের চার্জ থেকে হ্রাস করার শর্তে সকল সরকারি ও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের টোল মওকুফ করা হলো। এ আদেশ আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বেরনোর আশা জাগালেন অনাবাসী ভারতীয় বিজ্ঞানী

s s vasin
ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট এস এস ভাসিন। ছবি- ফেসবুকের সৌজন্যে।
করোনাভাইরাসের টিকা দ্রুত বাজারে আসার সম্ভাবনা জোরালো করে তুললেন এক ভারতীয় ভাইরোলজিস্ট। অধ্যাপক এস এস ভাসিন।
চিনের বাইরে গবেষণাগারে প্রথম করোনাভাইরাস তৈরি করেছে যে গবেষকদল, তার নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসিন। এই করোনাভাইরাস কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যাতে মানুষের উপর পরীক্ষার আগে টিকা তৈরির জন্য ভাইরাসটি নিয়ে গবেষণার (প্রি-ক্লিনিক্যাল স্টাডিজ) পর্যাপ্ত সুযোগ পাওয়া যায়।
সেই গবেষণা হবে অস্ট্রেলিয়ার ‘কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও)’-এর গবেষণাগারে। যেখানে ‘ডেঞ্জারাস প্যাথোজেন্‌স টিম’-এর নেতৃত্বে রয়েছেন ভাসান।
গত সপ্তাহেই মানুষের শরীর থেকে প্রথম করোনাভাইরাসকে আলাদা করতে পেরেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘ডোহার্টি ইনস্টিটিউটে’র গবেষকরা। ভাসিনের নেতৃত্বে সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কৃতিত্ব, তাঁরাই টিনের বাইরে প্রথম কৃত্রিম ভাবে করোনাভাইরাসের বাড়-বৃদ্ধি ও দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি করতে পেরেছেন। তার ফলে, তৈরি হয়েছে অসংখ্য করোনাভাইরাস। গবেষণার জন্য যা খুব প্রয়োজন।

‘‘করোনাভাইরাসের টিকা বানানোর গবেষণা তো আর শুধুই অস্ট্রেলিয়ায় হবে না। সেই গবেষণা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। আর সেই পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য প্রয়োজন কৃত্রিম ভাবে তৈরি করা করোনাভাইরাস। আমাদের কাজ সেই গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসের অভাব মেটাতে সাহায্য করবে’’, বলেছেন ভাসান।
চিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর এত অল্প সময়ের মধ্যেই অন্য দেশে বসে এই সাফল্য পাওয়ার জন্য ভাসান কৃতিত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডোহার্টি ইনস্টিটিউটকে। জানিয়েছেন, মানুষের শরীর থেকে আলাদা করার পরেই করোনাভাইরাসকে তারা পাঠিয়ে দিয়েছিল সিএসআইআরও-র গবেষকদলের কাছে। তার ফলে, কৃত্রিম ভাবে তৈরি করোনাভাইরাসের দ্রুত সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটানোর কাজটা এত অল্প সময়ে করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘এটা অন্যান্য টিকার ক্ষেত্রেও নতুন উদ্ভাবনে সাহায্য করবে।’’
পিলানির ‘বিড়লা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্স (বিআইটিএস)’ এবং বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স (আইআইএসসি)’-তে পড়াশোনার পর ‘রোডস স্কলারশিপ’ নিয়ে ভাসান পড়তে যান অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে। সেখান থেকে পিএইচডি করার পর ভাসান ডেঙ্গি, চিকনগুনিয়া ও জিকার ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করেন অক্সফোর্ডেই।

আনন্দ বাজার

Tuesday, February 4, 2020

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

অনলাইন ডেস্ক

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ
প্রতীকী ছবি
যখন হৃদপিণ্ডের কোনও শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে বাঁধার সৃষ্টি করে তখনই হার্ট অ্যাটাক হয়। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরলের সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ- এসবই মূলত হার্ট অ্যাটাকের কারণ। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাক হলেও সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব হয় না। সমস্যা হল কখনও কখনও বুকে কোনও ধরণের ব্যথা ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে কিনা তা খুব ভাল করে বোঝা যায় না। তাই জেনে নেওয়া যাক হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণগুলি সম্পর্কে-
১) হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের প্রায় একমাস আগে থেকেই দুর্বলতা এবং ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা শুরু হয়ে যায়। কোনও কারণ ছাড়াই শারীরিক দুর্বলতা এবং খুব সহজেই হাঁপিয়ে উঠে ঘন ঘন শ্বাস নেওয়ার সমস্যা শুরুর বিষয়ে সতর্ক থাকুন। এই রকম শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হলে বুঝতে হবে হৃদপিণ্ডের বিশ্রামের প্রয়োজন।
২) হটাৎ করে অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়ার সমস্যা শুরু হলে অবহেলা করবেন না। কারণ এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যখন হার্ট ব্লক হয় তখন রক্ত সঞ্চালনে হৃদপিণ্ডের অনেক বেশি কাজ করতে হয়। এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে ঘামের সৃষ্টি হয় এবং এই ঘাম সাধারণত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে থাকে। এই ধরনের সমস্যাকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। ৩) একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না।
৪) অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
৫) শুধু বুকে ব্যথাই নয়, শরীরের অন্যান্য বিশেষ কিছু অঙ্গে ব্যথা অনুভব হওয়াও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। পেটের উপরের অংশ, কাঁধ, পিঠ, গলা, দাঁত ও চোয়াল এবং বাম বাহুতে হুট করে অতিরিক্ত ব্যথা হওয়া বা চাপ অনুভব অথবা আড়ষ্টতা অনুভব করাও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই এই বিষয়গুলিকে মোটেই অবহেলা করবেন না।

বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ

Monday, February 3, 2020

ভারতে- আক্রান্ত তিন, করোনা ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা কেরলে - আনন্দ বাজার

kochi
কোচির একটি হাসপাতালে। ছবি: পিটিআই।


আতঙ্ক বাড়িয়ে সোমবার কেরলের কাসারগড়ে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের হদিস পাওয়া গেল। এর পরই এই ভাইরাসকে ‘রাজ্যের বিপর্যয়’ বলে ঘোষণা করল কেরল সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা বলেছেন, ‘‘রোগীদের হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রাখা হয়েছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে আক্রান্তদের।’’
কেরলে ইতিমধ্যে ‘আইসোলেশন’-এ রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল ১৭ জনকে। আজ কোট্টায়ামের বাসিন্দা আরও ২ জনকে সংক্রমণের আশঙ্কায় সরকারি হাসপাতালের ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ পাঠানো হয়েছে। রুটিন পরীক্ষার সময়ে ওই দু’জনের শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা যাওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে পাঠান স্বাস্থ্যকর্মীরা। ওই দু’জন দু’সপ্তাহ আগে চিন থেকে ফিরেছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন। আমি নিজেও কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’’
এক ঝলকে 
• কেরলে তৃতীয় করোনাভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ
• চিনের উহান থেকে ফেরা কেরলের তিন আক্রান্তই পড়ুয়া
• কেরলে প্রথম ভাইরাস আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল ত্রিশূরে দ্বিতীয় জন আলাপুঝার। তৃতীয় জন কাসারগড়ের বাসিন্দা
• সংক্রমণের আশঙ্কায় নিজেদের বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ২ হাজার জনকে। ‘আইসোলেশন ওয়ার্ডে’ রয়েছেন ১৭ জন
আজ চিন সফরে সতর্কতা জারি করে নতুন নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক। একটি বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, ১৫ জানুয়ারির পরে কেউ চিন থেকে ফিরলে তাঁকে ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ রাখা হতে পারে। জানুয়ারি মাসেই চিন থেকে ফেরা মিজোরামের দুই বাসিন্দাকে ঘরবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ত্রিপুরায় দু’টি বন্দর ও বিমানবন্দরে যাত্রীদের
পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগরতলা চেকপোস্টেও বাংলাদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 
মধ্যপ্রদেশে ‘আইসোলেশন ওয়ার্ড’-এ ভর্তি দু’জন সন্দেহভাজন ভাইরাস-আক্রান্ত হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গিয়েছে বলে খবর। বছর কুড়ির ওই দুই যুবক সম্প্রতি চিনের উহান থেকে ছতরপুরে ফিরেছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক পড়ুয়া সম্প্রতি সর্দিকাশি, গলাব্যথার মতো উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু রবিবার সকালে পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের আগেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এর জেরে হাসপাতাল কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিন দিন আগে চিন থেকে জবলপুরে ফেরা আর এক যুবককেও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তাঁরও খোঁজ নেই।

করোনাভাইরাস: হুট করে বেড়ে গেছে মাস্কের দাম

চীন ফেরত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় : আইইডিসিআর

অনলাইন ডেস্ক

চীন ফেরত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয় : আইইডিসিআর
ডা. মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা
চীনের উহান ফেরত যে ৮ বাংলাদেশিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
সোমবার রাজধানীর মহাখালী আইইডিসিআর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মিরজাদি সাবরিনা ফ্লোরা।
তিনি বলেন, উহান থেকে আসা ৭ বাংলাদেশিকে পরীক্ষা শেষে আবারও আশকোনা হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীকে রাজধানীর সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। উহান থেকে ফেরত আসা সব বাংলাদেশির বিমানে থাকা অবস্থায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তখন ৮ জনের তাপমাত্রা থাকায় তাদের হাসপাতালে রাখা হয়। চীনের উহান থেকে দেশে ফিরেছেন ৩১২ জন বাংলাদেশি। নিজ দেশে ছুটি কাটিয়ে ২৩ জন চীনা নাগরিকও শনিবার ঢাকায় ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে ৮ জনকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়। বাকি ৩২৫ জন বাংলাদেশি ও চীনা  নাগরিককে কোয়ারেন্টাইনের জন্য আশকোনা হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত

Thursday, January 30, 2020

করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে বৈশ্বিক সতর্কতা জারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার


চীন ও চীনের বাইরে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বৈশ্বিকভাবে সতর্কতা জারি করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস জানান, চীনে কী ঘটছে তার জন্য এ সতর্কতা জারি করা হয়নি, চীনের বাইরের দেশগুলোতে কী ঘটছে তার জন্য এ সতর্কতা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, চীনের বাইরে ১৮টি দেশে ৯৮টি করোনাভাইরাসের ঘটনা ধরা পড়েছে। বেশিরভাগক্ষেত্রেই এসব লোক চীনের উহান শহর ভ্রমণ করেছেন। সূত্র: বিবিসি বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

Saturday, January 25, 2020

National Institute of Neurosciences & Hospital Dhaka Doctor List Phone Location





Name of Professors of Clinical Neurology

Prof. Quazi Deen Mohammad
Professor
Dept. of Clinical Neurology

Prof. (Dr.) Badrul Alam
Professor
Dept. of Clinical Neurology

Prof. Md. Azharul Huq
Professor
Dept. of Clinical Neurology

Prof. Maliha Hakim
Professor
Dept. of Clinical Neurology

Prof. Uttam Kumar Saha
Professor
Dept. of Clinical Neurology
Faculty of Microbiology Department

Dr. Md. Abdullah Yusuf
MBBS, M.Phil. (Microbiology), MPH (Epidemiology)
WHO Fellow in Microbiology (Thailand)
WHO Fellowship in Human Rabies Diagnosis (NIMHANS, India)
Assistant Professor & Head,
Department of Microbiology
Email: ayusuf75@yahoo.com
Cell no.: +8801817565830
Twitter: @ayusuf75
Faculty of Biochemistry Department

Prof. Dr. Shaheen Akhter
MBBS (DU),M. Phil (Biochemistry)
Professor & Head
Department Of Biochemistry
National Institute of Neurosciences & Hospital
Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka-1207. Bangladesh
PABX: 9140752,9112709,9137305,9145908
E-mail: dr.shaheen395@gmail.com

Dr. Waseka Akter Jahan
MBBS, MPH, M.Phil
Associate Professor
Department of Biochemistry
National Institute of Neurosciences & Hospital
Sher-E-Bangla Nagar, Dhaka-1207, Bangladesh
Cell No: +8801918864422; Office: +8802-91127049
E-mail: drwaseks@gmail.com

Best Gynecologist Doctor










Dr. Hafizur Rahman
MBBS, FRCOG (London)
Senior Consultant, Obstetrics & Gynaecology
Popular Medical College & Hospital
Chamber: Popular Diagnostic Centre Ltd.,
House # 16, Road # 2, Dhanmondi, Dhaka
Phone:+88029669480, +88029661491-3, +8801553341060-1, +8801553341063.


Professor Dr. Anowara Begum

MBBS, FCPS ( Gyne & Obs )
Consultant
SQUARE Hospitals Ltd
Chamber: SQUARE Hospitals Ltd.
18/F West Panthapath, Dhaka – 1205, Bangladesh.
Phone: +880-2-8159457, 8142431, 8141522, 01713377773-5



Professor Dr. Amena Majid



MBBS, FCPS ( Gyne. ), MMED ( UK )
Ex. Professor of Gyne. & Obs.
Dhaka Medical College & Hospital
Chamber: Japan Bangladesh Friendship Hospital
55, Satmasjid Road ( Zigatola Bus Stand ), Dhaka – 1209, Bangladesh
Phone: +880-2-9672277, 9676161, 9664028, 9664029

Dr. Kohinoor Begum
MBBS, FCPS (Gynae & Obs)
Professor and Head of Gynaecology & Obstetrics
Institute of Child and Mother Health (ICMH)
Chamber: Nirupam Hospital, H-69, Rd-11/A, Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh
Mobile: 017-13044017

Dr. Maliha Rashid
MBBS, FCPS (Gynae & Obs)
Professor of Obstetrics & Gynaecology and Academic Coordinator
Central Hospital Ltd.
Chamber: Dhanmondi, Dhaka, Bangladesh
Phone: +880 2-9660015




Prof. Dr. T. A. Chowdhury



MBBS, FRCS, FRCOG, FRCP, FCPS (B), FCPS (P)
Professor & Head, Dept. of Gynae & Obs, BIRDEM
Chamber: Farida Clinic
165/A, Shantinagar, Dhaka, Shantinagar, Dhaka
Phone: +880 2-48321960





Professor Dr. Nilufar Sultana
MBBS, FCPSConsultant
Apollo Hospitals Dhaka
Plot # 81, Block # E, Basudhara R/A, Dhaka – 1229
Phone: +880-2-8401661, 8845242, Cell: +880 1841276556, Hotline: 10678

Professor Dr. A.K.M. Anowar-ul-Azim
MBBS,  FCPS ( Pak ), FCPS ( BD ), FACS, FICSDirector, Ad-din Hospital, Ex – Head, Obd & Gyne Department, DMCH
Ad-din Hospital, Dhaka
Chamber: Green Life Hospital Ltd. Dhaka, Bangladesh
32, Green Road, Dhanmondi, Dhaka – 1205, Bangladesh
Phone: +880-2-9353391-3  , 9612345, 9668287

Dr. Nasima Shaheen


MBBS, DGO, MCPS, FCPS
Consultant
Square Hospital Limited
Address: 18/F West, Bir Uttam Qazi, Nuruzzaman Road, Panthapath, Dhaka 1205, Bangladesh
Phone: +880 2-8144466


Dr. Mrinal Kumar Sarker
MBBS, DGO, FCPS,Fellow Reproductive Medicine & Assisted Reproductive Techniques (KKIV, Singapore)
Coordinator & Senior Consultant
Infertility Department
Apollo Hospital, Dhaka
Plot # 81, Block # E, Basudhara R/A, Dhaka – 1229
Phone: +880-2-8401661, 8845242, Cell: +880 1841276556


Dr. Nasrin Zulfiqar
MBBS, FCPS (BCPS), DGO,Trained in Laparoscopic Surgery(India)
Senior Consultant
Apollo Hospital, Dhaka
Plot # 81, Block # E, Basudhara R/A, Dhaka – 1229
Phone: +880-2-8401661, 8845242, Cell: +880 1841276556

Dr. Gulshan Ara
MBBS,MCPS,  FCPS (BCPS), MS(Gynae&Obs.), Trained in Advanced Laparoscopic Surgery(India)Coordinator & Senior Consultant
Apollo Hospitals Dhaka
Plot # 81, Block # E, Basudhara R/A, Dhaka – 1229
Phone: +880-2-8401661, 8845242, Cell: +880 1841276556


Dr. Amreen Sadika Sayeed
MBBS, DGO ( DU )Consultant
Ibrahim General Hospital & DCEC – Dhanmondi
Location: House # 42, Road # 10/A, Dhanmondi R/A, Dhaka – 1209, Bangladesh
Phone: +880-2-9146357


Prof. Dr. Sabera Khatun
MBBS (Dhaka), FCPS (Obs & Gynae) FICSObs. & Gynae Specialist
Professor & Head, Gynae Oncology (Gynae Dept.)
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University
Chamber : Central Hospital Ltd.
House – 2, Road – 5, Room – 700
Green Road, Dhaka, Bangladesh.
Phone: 8624514-18/2214

Professor. Dr. Khadiza Nazneen
MBBS, FCPS (Gynae), MRCOG (London)Obstetrician, Gynecologist & Laparoscopic Surgeon
Obstetricians and Gynaecology Specialist
Professor, Obs & Gynae Dept.
Enam Medical College
Chamber: Labaid Cardiac Hospital
House # 1, Road # 4, Dhanmondi
Dhaka-1205, Bangladesh.
Phone : 8610793-8, 9670210-3,Mobile: 01819-213262


Professor Dr. Fatema Begum
M.B.B.S, FCPS (Gynae)Obstetricians and Gynaecology Specialist
IBN Sina Medical College
Ex. Professor & Head of Dept. Gynae
Sir Solimullah Medical College
& Mitford Hospital, Dhaka

Chamber: IBN Sina HospitalHouse No. 68, Road No. 15/A
Dhanmondi, Dhaka-1205, Bangladesh.
Phone:  8119513-5

Dr. Nahrin Akhter
M.B.B.S, DGO, FCPS (Obs & Gynae)Associate Professor, Fetomaternal Medicine
Obstetricians and Gynaecology Specialist
Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSSMU), Dhaka, Bangladesh.
Chamber : IBN Sina Medical Imaging Center
House No. 58, Road No. 2/A
Dhanmondi R/A, ( Near Jhigatola Bus Stand)
Dhaka-1209, Bangladesh.
Phone : 8610420, 9666497, 8618262
Mobile: 01711-544687


Dr. Khaleda Akhter
MCPS, FCPS, MSObstetricians and Gynaecology Specialist & Surgeon
Assistant Professor, Gynae & Obs. Northern Int. Medical College & Hospital, Dhaka
Chamber : IBN Sina Hospital
House No. 68, Road No. 15/A
Dhanmondi, Dhaka-1205, Bangladesh.
Phone: 8119513-5, 8119603
Mobile: 01713-002665


Dr. (Col.) Liza Chowdhury
M.B.B.S, MCPS, DGO, FCPS (Gynae)Professor
Obstetricians and Gynaecology Specialist & Surgeon
Armed Forces Medical College
Classified Specialist ( Trained in Laparoscopic Surgery & Infertility )
CMH Dhaka, Dhaka Cant.
Chamber : IBN Sina D. Lab & Consultation Center
House No. 47, Road No. 9/A, Satmasjid Road
Dhanmondi, Dhaka-1209, Bangladesh.
Phone : 9126625-6, 9128835-7
Mobile : 01717-351631, 01747-444254
01819-220507