Tuesday, September 29, 2020

বিশ্ব হার্ট দিবস= ব্যাগের ভেতর হৃৎপিণ্ড নিয়ে ঘোরেন তাঁরা

 হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে। এর ওজন প্রায় ১৫ পাউন্ড। ব্যাগে থাকে ব্যাটারি, ইলেকট্রিক মোটর ও একটি পাম্প...

....................................................।

হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে
হৃৎপিণ্ড চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়া হুসেইনকে
ছবি: ডেইলি মেইল

দেখতে অনেকটা সাধারণ পিঠে ঝোলানো ব্যাগের মতো। ঠিক যেমনটা আপনি প্রয়োজনীয় জিনিস নেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন বা ছোট্ট ল্যাপটপের ঠাঁই হয় যেখানে। কিন্তু পার্থক্য হলো এই বিশেষ ব্যাগে থাকে শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের রিমোট কন্ট্রোল।

রিমোট কন্ট্রোল শব্দটা আসলে প্রতীকী অর্থে ব্যবহার করা। পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন, নানা কারণে যাঁদের হৃদ্‌যন্ত্র পুরোপুরি অচল হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁদের হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপনের সুযোগ থাকে। কিন্তু চাইলেই কি আর যখন-তখন তরতাজা হৃদ্‌যন্ত্র মেলে! তখন অপেক্ষা করতে হয়। আর অপেক্ষার সেই সময়টায় রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি।

বিজ্ঞাপন
রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি
রোগীদের পিঠে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র (টোটাল আর্টিফিশিয়াল হার্ট বা টিএএইচ)। একটি ব্যাকপ্যাকে নিয়ে ঘুরতে হয় সেটি
ছবি: ডাইকার্ডিওলোজি ডটকম

বিশ্বে সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র ব্যবহার করার বেশ কটি উদাহরণ আছে। যুক্তরাজ্যের সেলওয়া হুসেইন তেমনই একজন। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি তাঁর হৃৎপিণ্ড একেবারে অচল হয়ে গিয়েছিল। দুই সন্তানের মা সেলওয়ার বয়স তখন ৩৯ বছর। হাসপাতালে নেওয়ার পর দেখা যায়, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র আর কাজ করছে না। এরপর চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করতে হবে। কিন্তু দাতা পাওয়া যায়নি সময়মতো। তাই ওই বছরের শেষের দিকে সেলওয়ার শরীরে বসানো হয় কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র।

একে চালু রাখার জন্য একটি ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঘুরতে হয় সেলওয়াকে। এর ওজন প্রায় ১৫ পাউন্ড। ব্যাগে থাকে ব্যাটারি, ইলেকট্রিক মোটর ও একটি পাম্প। এটি সেলওয়ার কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রকে চালু রাখে ও নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্রের মাধ্যমে পুরো দেহে রক্ত চলাচল অব্যাহত থাকে।

সেলওয়া হুসেইনকে ওই সময় নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত হেয়ারফিল্ড হাসপাতালে। সেখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাঁর প্রাকৃতিক হৃদ্‌যন্ত্র অপসারণ করে সেখানে কৃত্রিমটি বসান। ব্যাগে করে হৃদ্‌যন্ত্র বয়ে নেওয়ায় অভ্যস্ত হতে সেলওয়ার কয়েক মাস সময় লেগেছিল। এরপর সর্বত্র চলাচলের ক্ষেত্রেই সেলওয়াকে এই ব্যাগ বইতে হতো। তা তিনি ঘরেই থাকুন বা রাস্তায়!

বিজ্ঞাপন
২০১১ সালে যুক্তরাজ্যেই আরেক ব্যক্তির দেহে বসানো হয়েছিল এমন হৃদ্‌যন্ত্র। তার দুই বছর পর ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল। যত দূর জানা যায়, তিনি বেশ সুস্থই ছিলেন। রেবেকা হ্যান্ডারসনের ভাগ্য অবশ্য অতটা সুপ্রসন্ন ছিল না।

সম্পূর্ণ কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য সেলওয়াকে খরচ করতে হয়েছিল প্রায় ৮৬ হাজার পাউন্ড। সেটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির তৈরি। অস্ত্রোপচারে সময় লেগেছিল প্রায় ৬ ঘণ্টা।

মানুষের পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনের কাজটি করে থাকে হৃদ্‌যন্ত্র। যখন এর নিলয় অকার্যকর হয়ে পড়ে, তখন আর সেটি কাজ করে না। কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্রের কাজ এখানেই। মূলত হৃদ্‌যন্ত্রের নিচের অংশে বসানো হয় এটি। চালু থাকে ব্যাকপ্যাকে থাকা ব্যাটারির সাহায্যে। দেহের সঙ্গে ব্যাগের সংযোগ থাকে দুটি নলের মাধ্যমে। এভাবেই পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখে কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র বা টিএএইচ।

তবে এ ক্ষেত্রে রোগীকে যেমন একটি ব্যাগ পিঠে ঝোলাতে হয়, তেমনি জরুরি প্রয়োজনের জন্য আরেকটি ব্যাগও সঙ্গে রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী। জরুরি প্রয়োজন হলে ব্যাগ পাল্টানোর জন্য সময় বরাদ্দ থাকে মাত্র ৯০ সেকেন্ড!

জরুরি প্রয়োজনের জন্য রোগীর সঙ্গে দুটি ব্যাগ রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী
জরুরি প্রয়োজনের জন্য রোগীর সঙ্গে দুটি ব্যাগ রাখতে হয় সব সময়। সেলওয়া হুসেইনের বেলায় এই দায়িত্ব পালন করতেন তাঁর স্বামী
ছবি: ডেইলি মেইল
বিজ্ঞাপন

এর আগেও অবশ্য এমন কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র ব্যবহারের উদাহরণ আছে। ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যেই আরেক ব্যক্তির দেহে বসানো হয়েছিল। তার দুই বছর পর ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির হৃদ্‌যন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয়। যত দূর জানা যায়, তিনি বেশ সুস্থই ছিলেন।

রেবেকা হ্যান্ডারসনের ভাগ্য অবশ্য অতটা সুপ্রসন্ন ছিল না। ক্যানসারের কারণে তাঁর হৃদ্‌যন্ত্র পুরোপুরি অচল হয়ে গিয়েছিল। কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। গত বছর ২৪ বছরের এই তরুণীর মৃত্যু হয়। হৃদ্‌যন্ত্রের ক্যানসারে ভোগা প্রথম রোগী হিসেবে তাঁর শরীরে বসানো হয়েছিল কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র। সেলওয়ার মতোই পিঠে ঝোলানো ব্যাগে তা নিয়ে ঘুরতেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া এই মেধাবী তরুণী।

কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর বেঁচে ছিলেন রেবেকা হ্যান্ডারসন
কৃত্রিম হৃদ্‌যন্ত্র লাগানোর পর এক বছর বেঁচে ছিলেন রেবেকা হ্যান্ডারসন
ছবি: দ্য টাইমস
বিজ্ঞাপন

অবশ্য ২০১৮ সালের পর অন্তর্জালে সেলওয়া হুসেইনের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায় না। বিশ্বাসযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যম তাঁর অবস্থা নিয়ে আর কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে আশা, তিনি সুস্থ আছেন। পিঠে ঝোলানো ব্যাগে হৃদ্‌যন্ত্রটি নিয়ে হাঁটছেন পৃথিবীর পথে। ঢিপ ঢিপ ঢিপ ঢিপ...!

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, ডেইলি মেইল, এক্সপ্রেস ডট কো ডট ইউকে, হেলথ ডট হার্ভার্ড ডট এডু ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হার্ট, লাং অ্যান্ড ব্লাড ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট

প্রথম আলো।

Tuesday, April 7, 2020

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবন: ‘রোবট সেবক’ সহায়তা দেবে করোনা আক্রান্তদের

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবন: ‘রোবট সেবক’ সহায়তা দেবে করোনা আক্রান্তদের
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা করবে রোবট। রোগীর সমস্যা শুনে তা ডাক্তারের কাছে পাঠানো, সময়মতো ওষুধ খাওয়ানো, বাথরুমে নেয়াসহ প্রয়োজনীয় কাজ করবে এই রোবট।
হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসা-সহকারী হিসেবে ব্যবহারের জন্য এই রোবট তৈরি করেছে বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির একটি গবেষক দল। রোবটটির নাম দেয়া হয়েছে ‘সেবক’। সরকার চাইলে এটি উৎপাদন করে হাসপাতালে সরবরাহ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন রোবটটির নির্মাতারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে চিকিৎসক ও নার্সরা আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে ডাক্তারদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করছে। ঝুঁকি বিবেচনায় অনেকেই সেবা দিতে গিয়ে শঙ্কায় থাকেন।
তবে সেবক নামের এই রোবটের মাধ্যমে চিকিৎসক তার রুমে বসেই সেবা দিতে পারবেন রোগীকে। এমনকি তিনি যদি হাসপাতালের বাইরে থাকেন তাহলে তার পক্ষে রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া সম্ভব হবে। এতে কমবে ডাক্তার ও নার্সের শঙ্কা ও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
এ রোবট তৈরি টিমের সদস্য, প্রভাষক মাহবুবুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, রোবটটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি হাসপাতালের সব পেশেন্টের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা চিকিৎসা সহকারী হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। আমাদের এ রোবটটি একটা ওয়ার্ডে ১০০ রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে।
চাহিদা অনুযায়ী সেবার ধরনের ওপর বিভিন্ন রকমের ফিচার এতে যুক্ত করা সম্ভব। জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৬ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর একটি রিসার্চ টিম এই সেবক নামের রোবটটি তৈরি করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা ইন্সটিটিউটের সদস্য। ইন্সটিটিউটে প্রায় ৫০ জন সদস্য আছেন। শিল্পপ্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষের বিকল্প হিসেবে সেবার কাজে ব্যবহারের জন্য রোবটটি তৈরি করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটির রিসার্চ টিমের দলনেতা ও শিক্ষক মাইনুল হাসান জানান, এ রোবট ব্যবহার করে একটি কন্ট্রোল স্টেশনে বসে রোগীর সংস্পর্শে না গিয়ে প্রত্যেককে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এতে ডাক্তার ও নার্স সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি হাসপাতালে কোনো ওয়ার্ডে একজন রোগী যখন ভর্তি হয়, তখন প্রথমে ডাক্তারকে দেখাতে হয়। ডাক্তার তাকে একটা প্রেসক্রিপশন দেন। প্রেসক্রিপশনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অনলাইন সফটওয়্যারে ইন্সটল হবে। অনলাইনে সফটওয়্যারে রোগীর তথ্য ও প্রেসক্রিপশন ইন্সটল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই রোগীর জন্য একটি মেডিকেল বক্স তৈরি হবে। এভাবে একটা ওয়ার্ডে ১০০ জন রোগী থাকলে ১০০টি বক্স তৈরি হবে। এই রোবটটি বক্স অনুযায়ী রোগীর সেবার রুটিন অনুসরণ করবে। যে সময় যে ওষুধ খাওয়ানো দরকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই ওষুধ নিয়ে সেবক নির্দিষ্ট রোগীর সামনে হাজির হবে।
সেবকের নির্মাতারা আরও বলেন, ওষুধ খাওয়ার সময় হলে নির্দিষ্ট রোগীর যে বক্স, সেটি ওপেন হবে এবং সেবক ওষুধ নিয়ে রোগীর সামনে যাবে। কোনো রোগী যদি ওষুধ খেতে অক্ষম হয় তাহলে এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোবটটি স্বয়ংক্রিয় রোবটিক্স হ্যান্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিকে ওষুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। সঙ্গে পানি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবে। যদি কোনো রোগী ট্যাবলেট জাতীয় মেডিসিন নিতে অক্ষম হয়, তাহলে এই মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট রোবটটি সেই ট্যাবলেটটিকে পাউডার বানিয়ে পানির সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে সক্ষম।
তিনি আরও বলেন, এই রোবট তৈরিতে বিভিন্ন রকমের খরচ আছে। হাসপাতালে একটি ওয়ার্ডের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চাইলে নানা ধরনের ফিচার যুক্ত করতে হবে। এতে একটি রোবট তৈরিতে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এ ধরনের একটি রোবট বানাতে ৫ থেকে ৬ দিন লাগবে।
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রকৌশলী আবদুল আজিজ যুগান্তরকে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে এই রিসার্চ টিমে ৫০ জন সদস্য আছেন। সরকার চাইলে ও কাঁচামাল সহায়তা পেলে আমরা দেড় থেকে ২০০ রোবট তৈরি করে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ।

Friday, March 6, 2020

করোনাভাইরাস ঃ কেরানীগঞ্জে পদ্মা সেতুর তথ্য সংগ্রহের সময় পরীক্ষা করা হয়

Thursday, March 5, 2020

করোনাভাইরাস: ইউরোপ-আমেরিকায় বাড়ছে আক্রান্ত-মৃত্যু

করোনাভাইরাস: সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে কারা?

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ নিয়ে চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বিস্তারিত গবেষণার ফল প্রকাশ করেছে। গবেষণা বলছে, এই ভাইরাসে শিশু, যুবক ও মধ্যবয়সীদের তুলনায় বয়স্কদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি।
১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনে প্রায় ৪৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্তের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি।


‘মার্কিন জীবাণু হামলার ফল করোনাভাইরাস’

‘মার্কিন জীবাণু হামলার ফল করোনাভাইরাস’
ছবি: এএফপি
করোনাভাইরাস মহামারী হিসেবে রূপ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেই দোষী বলছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের প্রধান হোসেন সালামি। হুশিয়ার করে তিনি বলেন, যারা এই ভাইরাস ছড়িয়েছে, শেষ পর্যন্ত তাদের জন্যই তা হিতে বিপরীত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, এটা সম্ভব যে আমেরিকার জীবাণু হামলারই ফল এই ভাইরাস। প্রথম তা চীনে ছড়ানো হয়েছে, পরে ইরানে এবং এরপরে বাদবাকি বিশ্বে।- খবর আরটি
কোভিড-১৯ নামের এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ইরান লড়াই চালিয়ে যাবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন যদি এই মহামারীর জন্য দায়ী হয়, তবে একসময় এটি তাদের দিকে ফিরে যাবে। তাদেরও ভুগতে হবে।
তবে এমন অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হলেও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেনি কোনো পক্ষ।
এর আগে ইরানের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার প্রধান জেনারেল গোলাম রেজা জালালি বলেন, দেশে নতুন করোনাভাইরাস নিয়ে গণমাধ্যম যেভাবে ভয় উৎপাদন করছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা চীন ও ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন জীবাণু হামলা। বেশ কিছু প্রতিবেদন এমন আভাসই দিচ্ছে যে এটা কোনো বৈরী রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে।
যদিও তার এই সন্দেহকে প্রমাণ করতে হলে পরীক্ষাগারের তদন্ত ও ভাইরাসের জেনোম নিয়ে গবেষণা করা দরকার বলে তিনি মনে করেন।
চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ইরান। বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে করে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটিতে সর্বমোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০৭ জনে।

Jugantor

করোনা থেকে বাঁচতে ইউনিসেফের ৫ নির্দেশনা

করোনাভাইরাস, ছবি সংগৃহীত
করোনাভাইরাস, ছবি সংগৃহীত
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। ভাইরাসটির কারণে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২৮৫ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে চীনে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার পেরিয়েছে। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১ জনের। এ ছাড়া দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৪০৯ জনে। এর মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯ জন।
বিবিসি বলছে, চীনের চেয়ে এখন চীনের বাইরে এ ভাইরাস ছড়াচ্ছে দ্রুতগতিতে। তবে অধিকাংশ রোগীর ক্ষেত্রে কেবল মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। সে দেশে পাঁচ হাজার ৩২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে আশার কথা– ৫০ হাজার ৬৯১ জনেরও বেশি মানুষ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার ৫ উপায় জানিয়েছেন ইউনিসেফ। আসুন জেনে নিই করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ইউনিসেফের ৫ নির্দেশনা-
১. হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
২. সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হাত ধোয়ার দ্রব্য দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৩. চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া যাবে না।
৪. হাঁচি, কাশি হচ্ছে এমন লোকজন থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫. সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Jugantor